This translation is incomplete. Please help translate this article from English.
আপনার অ্যাপটি কি কাজে লাগবে?
আপনার চারপাশে খেয়াল করুন। এমন একটি প্রয়োজন খুঁজে বের করুন, যেটা এখনও কেউ পূরণ করতে পারেনি। যদি আপনার ইতোমধ্যেই কোন কার্যতালিকা তৈরি করা থাকে, বা অ্যাপ তৈরি করার জন্য কোন আইডিয়া এবং, সেই অ্যাপ এর কাঙ্খিত ব্যবহারকারী থেকে থাকে, তাহলে এখন সময় হচ্ছে একটি লক্ষ্য স্থির করাঃ আপনার অ্যাপ এর কার্যকারিতা এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যবহারকারী সম্পর্কে একটি বাক্য লিখুন। এটাই আপনার সবচেয়ে বেশি কাজে লাগবে।
যেমনঃ একটি লিস্ট তৈরি করার টুল যাতে মানুষ তাদের কাঙ্খিত বস্তুর তালিকা তৈরি করতে পারে।
প্রধানত যে কাজে এটি ব্যবহৃত হবে, সেদিকে মনোযোগ দিন
এমনটা হতে পারে যে, আপনি আপনার তালিকায় থাকা সব কাজ লক্ষ্য বাক্যে (Goal Statement) যুক্ত করতে পারবেন না। এটা স্বাভাবিক; কারন আপনার অ্যাপটির প্রধান ব্যবহার উপযোগিতার উপর মনযোগী হতে হবে, যেটা হচ্ছে কিভাবে মানুষ আপনার অ্যাপ্লিকেশনটি ব্যবহার করবে। দুর্দান্ত অ্যাপগুলো যেকোনো একটা কাজ খুব ভালভাবে করে।
মানুষ এটি কিভাবে ব্যবহার করবে ?
এখন যেহেতু আপনি আপনার অ্যাপ ব্যবহারের আসল কারন, কাঙ্খিত ব্যবহারকারী এবং মূল ফিচার চিহ্নিত করতে পেরেছেন, তাই আপনার পরবর্তী কাজ হবে ব্যবহারকারীর পরিবেশ নিয়ে ভাবা। অর্থাৎ কোন পরিবেশে আপনার অ্যাপটি ব্যবহার করা হবে। উদাহরন হিসেবে, একজন তরুন মা তার বাচ্চার সাথে দিবাযত্ন কেন্দ্রে গিয়ে সুন্দর একটি বাচ্চা বহন করার গাড়ি দেখতে পেলেন। তিনি সেটি নোট করে রাখতে চাইলেন (মাল্টি-টাস্কিং, সাময়িক স্থগিত করা এবং পরবর্তীতে চালিয়ে যাওয়া)। একজন ভিন্ন ব্যবহারকারী, যিনি বাসায় তার আরাম চেয়ারে বসে পরবর্তী ল্যাপটপ কেনার পরিকল্পনা করছেন, কোনোরকম বাধা ছাড়াই।
সীমিত এবং নির্দিষ্ট কিছু বৈশিষ্ট্যের দিকে খেয়াল রাখুন
আপনার কার্যতালিকার দিকে আবার খেয়াল করুন। আপনার লিস্টে থাকা মূল লক্ষ্য গুলোর প্রতি মনোযোগ দিন। যদি আপনার বর্তমান কাজগুলোর মূল লক্ষ্যের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ না হয়, তবে সেগুলো আপনার অ্যাপ থেকে বাদ দিয়ে দিন।
প্রত্যেকটি মূল কাজকে একেকটি ফিচার হিসেবে ব্যাখ্যা করুন এবং নিজেকে প্রশ্ন করুন, এই ফিচারটি কি আসলেই কাজের ? নাকি এটা থাকলে ভালো, আবার তেমন জরুরী কিছু নয়। নিজের কাছে সৎ ভাবে প্রশ্নগুলো করুন। যদি সবশেষে আপনার কাছে খুব সংক্ষিপ্ত একটা ফিচার তালিকা থাকে, তাহলে আপনি সঠিক পথেই আছেন।
মনে রাখবেন, শ্রেষ্ঠ অ্যাপগুলো নির্দিষ্ট একটি কাজ খুব ভালভাবে করে। অ্যাপগুলো বেশিরভাগ সময়ে জনপ্রিয়তা অর্জনে ব্যর্থ হয় একটি কারনেঃ অনেক বেশি ফিচার থাকে !
প্রাথমিক কাঠামো
যখন আপনি কিছু প্রাথমিক ধারনা এবং আপনার লক্ষ্য নির্ধারণ করতে পারবেন, তখন আপনি আপনার কল্পনাকে বাস্তবে রূপান্তর করার কাজ শুরু করতে পারেন। শুরুতেই আপনি কাজের ধারা নির্ধারণ করে নিতে পারেন; অর্থাৎ, প্রথমে কোন স্ক্রীন আসবে, তারপর কোন স্ক্রীনে যাবে ইত্যাদি; একটি সম্পূর্ণ Workflow যেভাবে দেখাতে হয় আরকি!
চিন্তা করুন, কি ধরনের তথ্য একজন ব্যবহারকারী দেখতে ও সংরক্ষন করতে চায়। সেই সাথে কি কি ইউজার ইন্টারফেস (User Interface সংক্ষেপে UI) উপরোক্ত ধারনার সাথে প্রয়োজন হতে পারে, বা সামঞ্জস্যপূর্ণ। যেসব জিনিস প্রায় বারবার বা সবসময়ই প্রয়োজন হবে, এমন এলিমেন্ট গুলো স্ক্রিনের সুবিধাজনক জায়গায় রাখতে হবে। শুধুমাত্র কাজের ধাপগুলো এভাবে লিখলেই আপনার অ্যাপ এবং তার ফিচারের একটি প্রাথমিক কাঠামো তৈরি হয়ে যাবে।