ফায়ারফক্স ওএসে কাজ করা কিংবা এর ডেভেলোপ করার জন্য ফায়ারফক্স ওএসের মত পরিবেশ পাওয়ার তিনটি উপায় আছে। এগুলো হলো ফায়ারফক্স ওএস সিমুলেটর ,ফায়ারফক্স ওএস ইমুলেটর এবং ফায়ারফক্স ওএস সমর্থন করে এমন ডিভাইসে ফায়ারফক্স ওএস।
ব্যবহারকারীরা সাধারণত ফায়ারফক্স ওএস শুধু ডিভাইসের মাধ্যমেই পাবে কিন্তু সিমুলেটর অথবা ইমুলেটরের মাধ্যমে ফায়ারফক্স ওএস ডেভেলোপ করতে আগ্রহীদের একটি বিকল্প সুযোগ তৈরি করে দেয়। এধরণের বেশিরভাগ ডেভেলাপারদের জন্য ইমুলেটর অথবা সিমুলেটরই যথেষ্ট হবে কিন্তু এর সাথে এটাও মনে রাখা প্রয়োজন যে আসল ডিভাইসে যেরকম আচরন পাওয়া যাবে তার তুলনায় সিমুলেটর অথবা ইমুলেটর থেকে হয়তো অসম্পূর্ণ বা ভিন্ন আচরন পাওয়া যাবে। তাই , নিচে এগুলোর বিবরন দেয়া আছে যার মাধ্যমে আপনি জেনে নিতে পারেন তিনটির মধ্য থেকে কোনটি আপনার জন্য ভাল।
ফায়ারফক্স ওএস সিমুলেটর
ফায়ারফক্স ওএস সিমুলেটর হচ্ছে ফায়ারফক্স ব্রাউজারের জন্য তৈরি করা একটি অ্যাড-অন। এটি মূলত অ্যাপ ডেভেলাপারদের কাজ করার সুবিধার জন্য তৈরি হয়েছে।
সুবিধাসমূহঃ
- তিনটি অপশনের মধ্যে এটিকেই এখন পর্যন্ত সব থেকে সহজে এবং দ্রুততম সময়ে সেট আপ করা যায়।
অসুবিধাসমূহঃ
- তিনটি অপশনের মধ্যে সবচেয়ে কম সম্পূর্ণ হওয়া উপাদান।
- সিমুলেটর সমর্থন করে না এমন উপাদান হলো (খুব তাড়াতাড়ি যুক্ত হবে)।
ডেস্কটপ ফায়ারফক্স ক্লায়েন্ট
ফায়ারফক্স ওএস ডেস্কটপ ক্লায়েন্ট আপনাকে গেকো নির্ভর পরিবেশে আসল ডিভাইসের মত করে গাইয়া এবং ওয়েব অ্যাপস চালাতে দেয়। এটি B2G ডেস্কটপ ক্লায়েন্ট নামে ও পরিচিত। এটি ডিভাইস হার্ডওয়ারের মত না, তাই ডিভাইস এপিআই পরীক্ষা করার জন্য এটি পর্যাপ্ত নয় , এমনকি আসল ডিভাইসে পরীক্ষা করার মত বিষয়ের বিকল্পও এটি নয়। তারপরেও , এতে কনটাক্ট এবং সেটিংস এপিআই এর মত এমন কিছু এপিআই রয়েছে যা ফায়ারফক্সে ও পাওয়া যায় না। সেজন্য , যখন আপনি অ্যাপ ডেভেলাপমেন্ট করতবেন কিংবা গাইয়া ইউজার ইন্টারফেসে কাজ করবেন , তখন এটি আপনার জন্য অনেক সহায়ক হবে।
ফায়ারফক্স ওএস ইমুলেটর
ফায়ারফক্স ওএস ইমুলেটর এমন একটি প্রোগ্রাম যা ফায়ারফক্স ওএস এর সোর্স কোড থেকে তৈরী হয়েছে এবং এটি ডেক্সটপ মেশিনে চলে। সাধারণত যে সব ডেভেলপারদের সিমুলেটরের চেয়েও বেশি পরিপূর্ন মানের ফায়রাফক্স ওএসের পরিবেশ প্রয়োজন হয়, তারা কাজ করার জন্য এটিকে নির্বাচন করবেন। (সম্ভব হলে অপেরা মোবাইল ইমুলেটরটি দেখুন)
সুবিধাসমূহঃ
- এইটি অনেকটা সত্যিকারের ডিভাইসের মত।
- রিমোট ডিবাগিং এর মাধ্যমে যেকোন কাজে ব্যবহার করা যায় ,পরীক্ষা করা যায়।
- পরীক্ষা করার কাজে সেলেনিয়ামের মাধ্যমে প্রবেশ করা যাবে ।
- পূর্বনির্ধারিত প্রোফাইলের সাহায্যে কনফিগার করা যায় (যেমন স্ক্রীন সাইজ,যোগ্যতা ইত্যাদি)
- এটি সিমুলেটরের চেয়েও বেশি কিছু সুবিধা দিতে পারে (খুব তাড়াতাড়ি যুক্ত হবে)।
অসুবিধাসমূহঃ
- ফায়ারফক্স ওএস এর মত পরিবেশ তৈরি করা এবং এর সোর্স তৈরি করা - দুইটি কাজই অনেক রিসোর্স এবং সময় সাপেক্ষ এবং কাজ করার সময় এবং মাঝে মাঝেই এর অনেক সমস্যার সমাধান করা লাগে। দেখা দেয় তাছাড়া প্রসেসের বিভিন্ন পর্যায়ে এর ট্রাবলশুটিং করার প্রয়োজন পড়ে। (তবে এটি যদি ইতোমধ্যেই তৈরি হয়ে থাকে এবং অপেরা মোবাইল ইমুলেটরের মত ডাউনলোড বাইনারী হয়ে থাকে, তবে তা ভিন্ন কথা)
- ডিভাইসের পার্থক্যের তালিকা (খুব তাড়াতাড়ি যুক্ত হবে)।
কোন ডিভাইসে ফায়ারফক্স ওএস
সাধারণত সে সব ডেভেলাপার ফায়ারফক্স ওএস এর কোডের মূলে (গঙ্ক , গেকো) কাজ করছেন অথবা যে সব ডেভেলাপার তাদের অ্যাপসগুলো রিয়েল ডিভাইসে পরীক্ষা করতে চান তাদের জন্য এটা সবচেয়ে ভালো উপায়।
সুবিধাসমূহঃ
- সব ধরণের এপিআই এইখানে পাওয়া যাবে - এইটি মূলত এটির আসল বিষয়।
- সিমুলেটরের চেয়েও বেশি সুবিধা এখানে আছে (খুব তাড়াতাড়ি যুক্ত হবে)।
অসুবিধাসমূহঃ
- এটা তৈরি করতে অনেক সময় ও রিসোর্স প্রয়োজন এবং প্রায় সময়ই ের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করার প্রয়োজন হয়।
- তিনটি অপশনের মধ্যে এটি প্রয়োগ করতেই সবচেয়ে বেশি বাধার মুখোমুখি হতে হয় কেননা এটি করতে হলে ডেভেলোপারের একটি ডিভাইস থাকতে হবে যা তারা স্বেচ্ছায় ফ্ল্যাশ করতে রাজি থাকবেন।
- আসল ডিভাইস এর ডিবাগিং সিমুলেটর বা ইমুলেটর এ ডিবাগিং এর তুলনায় কঠিন হতে পারে , যা মূলত কি ধরনের সমস্যা তার উপর নির্ভর করে।
- আরো (খুব তাড়াতাড়ি যুক্ত হবে)।